রাজনৈতিক দলগুলোকে পরিবেশ ও জনগণের স্বার্থে সংস্কারমুখী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ। তার মতে, গণঅভ্যুত্থানের সময় ৩০ হাজার মানুষ পঙ্গু হয়ে গেছেন এবং প্রাণ হারিয়েছেন ১৫শ’ জন—এই ইতিহাস কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না।
শনিবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের আয়োজনে ‘পিএফএস: পলিউশন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব মন্তব্য করেন তিনি।
শারমিন মুরশিদ বলেন, “পরিবেশ ধ্বংস হয়ে গেলে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই সংকট মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।” রাসায়নিক দূষণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিয়ে তবেই নদী এবং মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা সম্ভব বলেও জানান তিনি।
আলোচনায় গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, “শুধু রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কাঠামোর পরিবর্তন নয়, পরিবেশ রক্ষায়ও নতুন ধরনের সামাজিক বন্দোবস্ত গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।”
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন গবেষক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীরা, যারা সবাই পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।